নভেল করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ তৈরি হয়নি। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকা ওষুধগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ‘অ্যাভিগান’ নিয়ে। বিভিন্ন দেশ থেকে এই ওষুধের কার্যকারিতার তথ্য আসছে। সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরাও।
জাপানি প্রতিষ্ঠান ফুজিফিল্ম তোয়ামা ক্যামিক্যালের তৈরি এই ওষুধ সর্বপ্রথম ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে চীনা চিকিৎসকরা। চীনের জাতীয় বায়োটেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ঝাং জিনমিন বলেছেন, ‘করোনা চিকিৎসায় অ্যাভিগান খুব নিরাপদ ও স্পষ্টভাবে কার্যকর।’ কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি না পাওয়া এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার কারণে একে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বলার সুযোগ নেই।
জাপানে এই ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে ১২০ জন রোগীর দেহে। তাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। মাত্র ৭ থেকে ৯ দিনের মধ্যে এই ওষুধ মানুষকে করোনামুক্ত করতে পারে, এমনটাই দাবি জাপানি গবেষকদের। প্রথমে ৩০ বছর বয়সী একজন রোগীর শরীরে অ্যাভিগান প্রয়োগের মাত্র ৭ দিনের মাথায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এক্ষেত্রে রোগীর কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।
তবে গবেষকরা বলছেন, সন্তানসম্ভবা নারীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি, কারণ তাতে নেতিবাচক ফলাফল আসতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে এই ওষুধ নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। নামকরা ওষুধ প্রস্তুতকারক অনেক কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে এই ওষুধের প্রতি। সূত্র বলছে, বাংলাদেশেও ৩টি ওষুধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাভিগান উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে।
0 Comments